Close

বিরোধী শাসিত রাজ্যে গুলোর ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত বিজেপির : অভিযোগ তিন মুখ্যমন্ত্রীর

নির্বাচিত রাজ্য সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতেই বিজেপির এই চক্রান্ত বলে মনে‌ করেছেন তিন মুখ্যমন্ত্রীই।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গেছে সিবিআই বলে অভিযোগ তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক‌ই অভিযোগের সুর অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরও। 

গত মঙ্গলবার, ২৩ শে মে, কেজরিওয়াল ও ভগয়ান্ত মানের নবান্ন বৈঠকে রাজ্য সরকারে থাকা “অবিজেপি” দল গুলির ওপর কেন্দ্রের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরব হন তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচিত রাজ্য সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতেই বিজেপির এই চক্রান্ত বলে মনে‌ করেছেন তিন মুখ্যমন্ত্রীই।

কেন্দ্রের স্বেচ্ছাচারের উদাহরনস্বরূপ, সিবিআইয়ের দ্বারা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সুর দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর ও। দিল্লীর দুর্নীতি কান্ডেও উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসৌদিয়াকেও সিবিআই ধাক্কা দিয়ে নিয়ে গিয়ে অপমান করে যা একজন জনপ্রতিনিধির প্রাপ্য নয়।

সুপ্রিম কোর্টের রায় উলটে দিয়ে ইউনিয়ন সরকারের তরফ থেকে ১৯শে মে অর্ডিন্যান্স জারি করে দিল্লি রাজ্যের আমলা বদলির অধিকার শুধুমাত্র কেন্দ্রের হাতে কুক্ষিগত করা হয়। প্রসঙ্গত কেজরিওয়াল বলেন, “ক্ষমতায় আসতে না পারলে বিজেপি ‘তিনটি অস্ত্র’ ব্যবহার করে- বিধায়ক কিনে ক্ষমতা বদল করে, আইনের তোয়াক্কা না করে রাজ্যপালের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য সরকারকে অকেজো করে, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে, ভয় দেখিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।” এর আগে বিরোধী দলনেতা, নীতীশ কুমার তারপর মমতাকে পাশে নিয়ে, ২০২৪ এর কেন্দ্রে “মোদীর পতন” এর আশা ‘আপ’ নেতার।

এতে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও, “সিবিআই তো রাস্তা থেকে ভদ্রলোককে ধরে নিয়ে যায়নি। বাড়ির লোক হোক আর পার্টির লোক! দুর্নীতি করেছে বলেই সিবিআই ধরছে।” 

Leave a comment
scroll to top