এগরা, বজবজের পর গত সোমবার ২২ শে মে আবার বিস্ফোরন বীরভূমের দুবরাজপুরের, বেআইনি বাজি কারখানায়।
একই ঘটনা টানা বেশ কিছুদিন ধরে হচ্ছে এর পিছনে বিরোধীরা শাসকদল এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। এর জবাব দিয়েছে তৃনমূলও।
স্থানীয়দের দাবি বিস্ফোরনটি হয় একজন তৃনমূল সমর্থকের বাড়ি। এদিনই এগরাতে প্রচুর বাজি উদ্ধার হয়। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিস্ফোরকের বস্তা এছাড়াও ৪০ হাজার কেজি বেআইনি বাজি।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কংগ্ৰেস নেতা অধীর চৌধুরীর বলেন,
“বাজি কারখানা তৈরির নামে এই বাংলায় বোমা কারখানা তৈরি হচ্ছে। বাজি কারখানার আড়ালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের যে বোমা মজুতের ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে, সেই ভাণ্ডার আগামী দিনে এই বাংলার নিরাপত্তাকে ভয়ঙ্করভাবে বিঘ্নিত করবে।”
পরপর ঘটনাগুলোর পর সোমবার বিকেলে এক সভায় সৌগতবাবু বলেন, “প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এই গরমে পটাশিয়াম ক্লোরাইড ও আর্সেনিক ট্রাইসালফাইড একসঙ্গে রাখলে বিস্ফোরণ হতেই পারে। রাজ্যে ৩৮ হাজার গ্রামে কোথায় কোথায় বাজি লুকিয়ে রাখা আছে তা কি পুলিশের পক্ষে জানা সম্ভব?” এই প্রাণহানীর ঘটনায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃনমূল সাংসদের।
এগরায় বিস্ফোরন কান্ডে মৃতের সংখ্যা ১১ এবং এই ঘটনার রেশ না কাটাতেই দঃ ২৪ পরগনার বজবজে বিস্ফোরন কান্ডে মৃত্য হয় ৩ জনের, এরপর আবার বীরভূমের দুবরাজপুরে। এক সপ্তাহে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।