রবিবার ২৮শে মে নয়া সংসদ ভবন উদ্ধোধনের প্রথম দফা শেষ হতেই ১২টা থেকে ২টো অবধি চলল দ্বিতীয় দফার অনুষ্ঠান। সকাল থেকে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে পুজো-যজ্ঞ-সেঙ্গল স্থাপন-ভাষণের মাধ্যমে দেশের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হল। উদ্বোধনের পর মোদী ভারতের এগিয়ে যাওয়াকে বিশ্বের এগিয়ে যাওয়া বলে মন্তব্য করে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ এবং ২০টি বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতেই নতুন সংসদ ভবনে সেঙ্গল স্থাপন করল প্রধানমন্ত্রী। নতুন সংসদ ভবনে, নতুন ভারতের প্রতীকেরও ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উদ্ধোধনের পর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অভিনন্দন জানানো হয় এবং তার পাশাপাশি বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয় মোদীকে।
শাহরুখ খান নয়া সংসদ ভবনের একটি ভিডিওতে তার নিজের কণ্ঠে ভয়েস-ওভার দিয়ে, বাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসাবে সঙ্গে জুড়ে দেন তাঁর সিনেমা ‘স্বদেশ’-র সুর। এছাড়াও সংসদ ভবনের প্রশংসা করে বলেন, “যারা আমাদের সংবিধানের মাথা উঁচু রাখে, এই মহান জাতির প্রতিটি নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করে এবং জনগণের বৈচিত্র্য রক্ষা করে তাঁদের জন্য কী চমৎকার নতুন বাড়ি। নতুন ভারতের জন্য একটি নতুন সংসদ ভবন, সঙ্গে ভারতের সুপ্রাচীন গৌরবের স্বপ্নগুলিকে সঙ্গে নিয়ে। জয় হিন্দ”।
এর প্রতুত্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, শাহরুখ খানের মন্তব্যটিকে “খুব সঠিক বিশ্লেষন বলে” রিট্যুইট করেছে।
অন্যদিকে, বলিউড তারকা তথা প্রাক্তন ইলাহাবাদের সাংসদ অমিতাভ বচ্চন নয়া সংসদ ভবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন তার ভ্লগে। তিনি বলেন, “দেশের সংসদের নতুন ভবন খুলেছে। প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে আমার অনেক শুভেচ্ছা। যদিও আমি জানতে চাই কেন এটির আকৃতি ঠিক এ রকম। এর ধর্মতাত্ত্বিক, পৌরাণিক, জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় অর্থ ঠিক কী?”
কংগ্ৰেস নেতা রাহুল গান্ধী, নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন কে প্রধআনমন্ত্রীর রাজ্যাভিষেক বলে কটাক্ষ করে।
ANI সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে যে, “বিরোধীশূন্য একটি সরকারি সংসদ ভবনের উদযাপন, পুরো অনুষ্ঠানটিকেই অসম্পূর্ন করে রাখে এবং এরপর কোনো গনতন্ত্র দেশে বাকি থাকল না বলে জানায়”।
এছাড়া লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি ভারতের নয়া সংসদ ভবনকে ” কফিনের” সাথে তুলনা করে ট্যুইটারে। আরজেডির এই ট্যুইটের পরই কড়া জবাব দিয়েছে বিজেপিও। সুশীল মোদী পাল্টা ট্যুইট করে হুমকি দেন, “যাঁরা নতুন সংসদ ভবনকে কফিনের সঙ্গে তুলনা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার মামলা দায়ের করা হবে।” কফিন প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া আবার আরেক মন্তব্য করেন, “২০২৪ সালে দেশের মানুষ আপনাদের সেই কফিনেই কবর দেবে।”