ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, দেশজুড়ে স্কুলে ছাত্রীদের উপর বিষ প্রয়োগের অভিযোগে শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অপরাধীদের “সর্বোচ্চ শাস্তি” দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছর নভেম্বর মাস থেকেই দক্ষিণ তেহেরানের প্রায় ৫০টির মত স্কুলের ১০০০ জন মত ছাত্রী রহস্যজনক ভাবে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর পর ব্যাপক ভাবে অবিভাবকদের বিক্ষোভ চলছিলো। বেশ কিছু পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম এমন ইঙ্গিতও করেছিলো যে ইরান সরকারই ছাত্রীদের উপর বিষ প্রয়োগ করেছে।
বিষপ্রয়োগের পিছনে কারা রয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইরানের বহিরাগত “শত্রুদের” দোষারোপ করেছেন, অন্যদিকে উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি মনে করেন যে কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠী, যারা নারী শিক্ষার বিরোধিতা করে তারা জড়িত হতে পারে।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং স্কুল বন্ধ করার জন্য এ কাজ করেছিল। “বিদ্বেষমূলক উদ্দেশ্য” সহ অন্যরা “ছাত্রীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে, স্কুল বন্ধ করে দিতে এবং [ইসলামী প্রতিষ্ঠানের] প্রতি হতাশা সৃষ্টি করতে অজানা পদার্থ ব্যবহার করে,”।
মন্ত্রক বলেছে যে গ্রেফতার হওয়া গোষ্ঠীটির সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং ইসরায়েল সমর্থিত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মুজাহেদিন খালক সংস্থার সাথে কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
ছাত্রীদের উপর বিষ প্রয়োগের প্রক্ষিতে ধর্মগুরু খামেনি কঠোর জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, তিনি ঘটনাগুলিকে “অমার্জনীয় অপরাধ” হিসাবে চিহ্নিত করেন এবং বলেছিলেন যে “ছাত্রীদের উপর বিষ প্রয়োগের বিষয়টি প্রমাণিত হলে, অপরাধীদের ক্ষমা ছাড়াই সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।”