Close

ডায়েট কোকে অ্যাসপার্টেম আদতে কার্সিনোজেন, বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

নরম পানীয়ের কৃত্রিম মিষ্টিকারক অ্যাসপার্টেমকে কার্সিনোজেন হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই জুলাই মাসে নিশ্চিত হবে বিশ্ববাসী।

Image by Igor Ovsyannykov from Pixabay

ডায়েট কোকে রয়েছে মারণ রোগ ক্যান্সারের অনুঘটক? সম্প্রতি এরকমই আতঙ্কের খবর শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা (WHO)। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে ঘুম ছুটেছে কোকাকোলার মতো নরম পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থার। কী ভাবছে গ্রাহকেরা?

নরম পানীয়তে লুকিয়ে রয়েছে জটিল ক্যান্সার। ডায়েট কোকে পাওয়া গিয়েছে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী সম্ভাব্য কার্সিনোজেন। জুলাইতেই নরম পানীয়তে ব্যবহৃত কৃত্রিম চিনি অ্যাসপার্টাম-কে কার্সিনোজেনিক বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বলে ঘোষণা করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO ) বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। সম্প্রতি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’-এর ক্যান্সার গবেষণা শাখা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (IARC) অ্যাসপার্টামকে সম্ভাব্য ‘কার্সিনোজেনিক’ বলেছে।


এই অজৈব মিষ্টিকারক কোন কোন খাবারে বিষ? অ্যাসপার্টেম কোকা-কোলা ডায়েট সোডা থেকে শুরু করে মার্স এক্সট্রা চুইংগামে ব্যাবহার করা হয়। এছাড়াও স্ন্যাপলের পানীয়তে অ্যাসপার্টেম ব্যবহার করে কোম্পানি। জুলাই মাসে মানুষের জন্য অ্যাসপার্টেমকে সম্ভবত কার্সিনোজেনিক হিসাবে তালিকাভুক্ত করবে WHO। চলতি মাসেই এই কৃত্রিম চিনির ক্যান্সার প্রবণতা নিয়ে একটি বৈঠকে করে ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (IARC)। এই বৈঠকে এজেন্সির সদস্যদের পাশাপাশি বহিরাগত বিশেষজ্ঞদেরও ডাকা হয়েছিল। সেখানে সব প্রকাশিত প্রমাণের ভিত্তিতে অ্যাসপার্টেম-এ সম্ভাব্য বিপদের মূল্যায়ন করা হয়। এরপরই একে কার্সিনোজেন বলে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা।

ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রতিবেদন সামনে এনেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। সেই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, ঠিক কতটা পরিমাণ নরম পানীয় খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ তা এখনও নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। তাই অ্যাসপার্টেম-কে কিভাবে এড়ানো জায় সেই বিষয়েও বিশদে জানা যায়নি। তবে এই পরামর্শ জাতীয় নিয়ন্ত্রকদের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি জেইসিএফএ (জয়েন্ট ডব্লিউএইচও এবং ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ফুড অ্যাডিটিভস সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ কমিটি) নামে পরিচিত খাদ্য সংযোজন সম্পর্কিত একটি পৃথক ডব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ কমিটি থেকে এসেছে।

Leave a comment
scroll to top