Close

আবার কলেরা! প্রকোপ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন হু

হুয়ের স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীদের মতে অর্থনৈতিক সঙ্কট, কোভিড পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তন - সম্মিলিতভাবে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি ঘটিয়েছে।

হুয়ের স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীদের মতে অর্থনৈতিক সঙ্কট, কোভিড পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তন - সম্মিলিতভাবে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি ঘটিয়েছে।

ফটো ক্রেডিট - ইউনাইটেড নেশনস ওয়েবসাইট

কমপক্ষে ৩০টি দেশে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি দেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে যে কলেরার বর্তমান ঢেউয়ের সামনে বিশ্বের ৪৩ টি দেশের প্রায় দশ লাখ মানুষ বিপদের মুখে রয়েছে।

হুয়ের মতে ২০২২ এর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২৯টি দেশ কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছে যা গত ২৩ বছরে সর্বাধিক।

গত বছরে হুয়ের অধিকর্তা টেড্রস অ্যাডানম ঘেব্রেইসাস বলেছিলেন যে জলবায়ু পরিবর্তন কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারন। সিরিয়া গত ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম কলেরার ঘটনার কথা জানিয়েছে। সিরিয়ার বিধ্বংসী ভূমিকম্প কলেরা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। লেবাননও গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম কলেরার ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে সম্প্রতি।

হুয়ের স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীদের মতে অর্থনৈতিক সঙ্কট, কোভিড পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তন – সব কিছুই সম্মিলিতভাবে কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। আফ্রিকায় ২০২৩ সালেই ৬৬০ জনের কলেরায় মৃত্যু হয়েছে। অবস্থার অবনতি হচ্ছে মালাউই ও মোজাম্বিকে।

ভ্যাক্সিন অপ্রতুলতাও কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধির একটি কারন বলে মনে করা হচ্ছে। মাত্র ৩.৭ কোটি ভ্যাক্সিন এখনও পর্যন্ত উপলব্ধ আছে। 

কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ছড়ানো রোগ। দূষিত জল, খাদ্য গ্রহণ করলে কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কলেরার প্রকোপ বৃদ্ধি আটকানোর জন্য হু তাই অনুরোধ জানিয়েছে সতর্ক থাকার। এর পাশাপাশি হু বিশ্বের দেশগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছে নাগরিকদের পরিষ্কার পানীয় জল, খাদ্য সরবরাহ সুনিশ্চিত করার।

Leave a comment
scroll to top