Close

পরিবেশের দফারফা, ধর্ণায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা

অতি উন্নয়নে পরিবেশের দফারফা‌। তাই এবার পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে ইতিবাচক পদক্ষেপের দাবিতে আন্দোলনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।

ছবি সূত্র:- অরণি ঘোষ

প্রতিবাদ আন্দোলনের জন্য পরিচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে এবার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসেই অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রছাত্রী। না, কর্তৃপক্ষের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে চিরাচরিত প্রতিবাদ নয়, এ আন্দোলন অন্যরকম। সার্বিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এই অবস্থান করে ক্যাম্পাসের মধ্যে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান ছাত্রদের।

এইদিন ছাত্রদের আন্দোলনে উঠে এল ‘কর্পোরেট কর্তৃক জঙ্গল নিধন’, ‘উন্নয়নের নামে আদিবাসী গণহত্যা’, ‘লাদাখ বাঁচাও’-এর মতো দাবি। তাঁদের বক্তব্য প্রকৃতির সাথে মানুষের নাড়ীর টান তাই দায়ীত্বও তাঁদের। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে অরণি ঘোষ সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লিখছেন, “বিগত ১০০ বছরের মধ্যে ২০১৬ সাল কে চিহ্নিত করা হয় উষ্ণতম গ্রীষ্ম হিসাবে। সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ২০২৪’র এপ্রিল। কলকাতার মেয়র কে আবেদন করতে হচ্ছে, জল অপচয় না করতে, কারন গঙ্গা থেকে গোটা কলকাতা নগরের যে পানীয় জল পরিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হয়, তা সম্ভব হচ্ছে না। একমাত্র জোয়ারের সময় জল তোলা যাচ্ছে, নাহলে উঠছে কাদা আর মাটি।”

তিনি আরও লিখেছেন, “গঙ্গার জলস্তরের এই অবস্থা হলে, বোঝা দুষ্কর নয়, অন্য নদী গুলির কি অবস্থা, বিগত দশ বছরে বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়, দাবানল। সাথে সাথে বেড়েছে উন্নয়ন। যে কটি জলাভূমি, খাল ছিলো, বুঁজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাহাড়, অযোধ্য কে ধ্বংস করা হচ্ছে, আমফান ঝড়ে বহু বৃক্ষ উপড়ে গেছে, তার প্রতিকার না করে নির্বিচারে আরো গাছ কাটা হয়েছে, ফলে কলকাতার গ্রীন কভার কমেছে ৩০%,শহরে নাভিশ্বাস উঠছে।”

আরুণীর কথায় জলবায়ু পরিবর্তন আটকাতে “আমরা যাদবপুরের সচেতন শিক্ষার্থী হিসাবে আমাদের ইউনিভার্সিটি এলাকার দায়িত্ব নিচ্ছি। সকলে যদি নিজের পাড়া টুকুর দায়িত্ব নেন, অনেকটা হবে।” কিন্তু ঠিক কী কী দায়িত্ব নিতে চান তাঁরা? এইদিন নিজেদের অবস্থান থেকে ছাত্রদের দাবি, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম, সোলার প্যানেল/ বিকল্প তুলনামূলক প্রকৃতি বান্ধব বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা, ফলের গাছ লাগানো, পুকুর খনন, সম্পূর্ণভাবে প্লাস্টিক বর্জন এগুলি’র বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে। যতক্ষণ কর্তৃপক্ষ এই দাবি না মানছেন ছাত্ররা ধর্না চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর সাংবাদিকতার ছাত্রী ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, যিনি শ্রম, কৃষি ও রাজনীতি নিয়ে রিপোর্টিং করেন।

Leave a comment
scroll to top