২০২০ সালের নয়া শিক্ষানীতি পাস করার পর মোদীর বিরোধীতায় সরব ছিলেন তৃনমূল নেত্রী মমতাসহ অনেকেই। তবে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হচ্ছে রাজ্যে, এমনটাই ঘোষনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
জাতীয় শিক্ষানীতির পূর্বে স্নাতক ডিগ্ৰি অর্জন করার সময় ছিল তিন এবং স্নাতকোত্তরের জন্য দুই বছর। তবে ২০২০ সালে মোদী সরকার এই জাতীয় শিক্ষানীতি আইন পাস করেন। এই নিয়ে বিতর্কের জালও ছড়িয়েছে বহুদূর। অবিজেপি দল গুলিও এই নীতির বিরোধিতা করেন। তৃনমূল নেত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এর তীব্র সমালোচনা করেন দিন কয়েক আগেই তার অভিযোগ ছিল, কোনও আলোচনা ছাড়াই কেন্দ্র সরকার নয়া শিক্ষা নীতি পাস করিয়েছে। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে UGC চার বছরের ডিগ্রি কোর্সের পাঠক্রম চূড়ান্ত করার পর সব রাজ্যকে সেই পাঠক্রম লাগু করতে অনুরোধ করে। তারপর হঠাৎই এই সুরবদল নেত্রীর।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববাংলা মেলাপ্রাঙ্গণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানান যে, চলতি শিক্ষা বর্ষ থেকে পাস কোর্সে স্নাতক করলে তিনবছর এবং অনার্স করলে চার বছর লাগবে। স্নাতকোত্তরে লাগবে এক বছর সময়। কেন্দ্রের অনুমোদনেই হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলেন,এতে পড়াশোনা আরও সহজ হবে। অনেক রাজ্যেই এই নিয়ম অনুযায়ী পাঠক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে রাজ্যের পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক পড়ূয়া আর্থিক ভাবে উন্নত নয় তাদের কথা ভেবে, মমতা বলেন যে, কেউ যদি দুই বছর পড়ার পর ছেড়ে দেয়, তারপর আবার যোগ দিয়ে সেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় তবে সে সুবিধাপ্রাপ্ত হবে সেইক্ষেত্রে। অর্থাৎ কোর্সটি দ্বারা অনেক পড়ুয়াই উপকৃত হবে।