Close

UAPA তুলে নেওয়ার দাবিতে ৪৮ ঘন্টা বন্ধ ইম্ফলে

হিংসার ঘটনায় ধৃত পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে UAPA-এর আওতায় মামলা করেছিল মণিপুর পুলিশ। তার বিরুদ্ধেই ৪৮ ঘন্টা বন্ধ ইম্ফলে।

হিংসার ঘটনায় ধৃত পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে UAPA-এর আওতায় মামলা করেছিল মণিপুর পুলিশ। তার বিরুদ্ধেই ৪৮ ঘন্টা বন্ধ ইম্ফলে।

UAPA তুলে নেওয়ার দাবিতে স্তব্ধ মণিপুর। হিংসার ঘটনায় ধৃত পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (UAPA)-এর আওতায় মামলা করেছিল মণিপুর পুলিশ। সেই ঘটনার জেরেই বুধবার ফের অশান্তি ছড়াল ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে। ধৃতদের মুক্তি এবং UAPA প্রত্যাহারের দাবিতে বন্ধের জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল সহ লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা। আজ দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ হল বন্ধ সমর্থক এবং মণিপুর পুলিশের মধ্যে।

মণিপুর রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সেনার পোশাক পরে হামলা চালানো, পুলিশের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র লুট, অগ্নিসংযোগ-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সূত্রের খবর ধৃতদের মধ্যে এক জন নিষিদ্ধ বিদ্রোহী সংগঠন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সদস্য। মৈরামথেং আনন্দ সিংহ নামে আর একজন ধৃতের বিরুদ্ধে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি নামে নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে। মৈরামথেং-কে ইতিপূর্বে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে মণিপুর রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে। গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার ওই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

তাদের দাবি ধৃতদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেইতেইদের মহিলা গোষ্ঠী মেইরা পেইবি এবং পাঁচটি স্থানীয় সংগঠন মঙ্গলবার থেকেরাজ্য জুড়ে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছিল। সোমবার, মেরা পাইবিস ইম্ফল পূর্ব জেলার খুরাই এবং কংবা, ইম্ফল পশ্চিম জেলার কাকওয়া, বিষ্ণুপুর জেলার নাম্বোল এবং থাউবাল জেলার বিভিন্ন এলাকা সহ উল্লেখযোগ্য স্থানে রাস্তা অবরোধ করেছিল। অবরোধ চলাকালীন তাদের দাবি ছিল আটক যুবকদের মুক্তি। অল লাংথাবল কেন্দ্র ইউনাইটেড ক্লাব কো-অর্ডিনেটিং কমিটির সভাপতি ইয়ুমনাম হিটলার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “যে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী। কুকি-জো-দের হামলার হাত থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে তাঁরা রক্ষকের কাজ করেন। আমরা নিঃশর্তভাবে ওঁদের মুক্তি চাইছি।” ইউমনাম আরও যোগ করেছেন, “সরকার যদি তাদের মুক্তি দিতে ব্যর্থ হয় তবে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”

মণিপুর পুলিশের এক আধিকারিক বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সেনার উর্দি পরে হিংসায় অংশ নেওয়া এবং ইনসাস রাইফেল ও কার্তুজ লুটের প্রমাণ মিলেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। লুট হওয়া অস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধারও হয়েছে।’’ যদিও মেইতেইদের বেশ কয়েকটি সংগঠনের অভিযোগ, ধৃত পাঁচ জন নির্দোষ। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনামলে UAPA অত্যন্ত পরিচিত শব্দবন্ধ হয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বে যেকোনো প্রকারের বিরুদ্ধমত বহনকারীকেই UAPA-র আওতায় গ্রেফতার করার ঘটনা নতুন নয়। মণিপুরের বর্তমান সরকারি দল কেন্দ্রে এনডিএ-র জোটসঙ্গী। তাই এই ঘটনাও আশার অতীত নয়।

Leave a comment
scroll to top