শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মার। অপমানের চোটে ২৪ বছর বয়সী যুবক আত্মঘাতী। বাগুইআটি থানা এলাকার এই ঘটনায়, পুলিশের কার্যকলাপের দিকে উঠছে প্রশ্ন। এই গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। মৃত যুবক ঋত্বিক গুপ্ত। বাড়ি বাগুইআটি এলাকায়। একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। মৃতের পরিবারের দাবি মিথ্যা শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে।
পরিবার সূত্রে খবর, ৬ মাস আগে বাগুইআটিতে একটি শ্লীলতাহানির ঘটনায় এই বাইকের নম্বর ধরে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। বাইকটি যুবক-এর বাবার। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময়, বাগুইআটি জাগৃতি সঙ্ঘ এলাকায় বাইক সহ যুবক-কে ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। বৃহস্পতিবার রাতে বাগুইআটি থানাতেই থাকেন ওই যুবক। পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার বারাসাত আদালতে তোলা হলে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান যুবক। পরিবারের দাবি, বাড়ি ফেরার পর থেকেই নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ওই যুবক। ঋত্বিক জানিয়েছিল, বাগুইআটি থানায় মারাত্মক শারীরিক নিগ্রহ করা হয় তাঁকে। সংবাদমাধ্যমকে পায়ে কালশিটে দাগের ছবিও দেখিয়েছে পরিবার। শুধু তাই নয়, ঋত্বিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা তাঁর কর্মক্ষেত্র অর্থাৎ সেই বেসরকারি হাসপাতালেও জানানো হয় বলে অভিযোগ।
এরপরই, শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ, ঘরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরিবারের দাবি, অপমানের ঘাতে আত্মঘাতী হয়েছে যুবক। মৃত যুবক-এর ভাই আকাশ গুপ্ত বলেছেন, “পুলিশ ওকে এত মেরেছে যে পুরো লাল দাগ ছিল। আইসি এসেছিল। আমরা বলেছি সিসিটিভি ক্য়ামেরা দেখাতে। ফুটেজটা দেখাচ্ছে না কেন?” মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মৃতের বাবা। তাঁর বক্তব্য, পুলিশকে এভাবে মারার অধিকার কে দিয়েছে? ছেলের মৃত্যুর প্রতিবাদ চাই। ন্যায়বিচার চাই। সকালে বাগুইআটি থানার পুলিশ যুবক-এর বাড়িতে গেলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল নীলরতন সরকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।