কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ফের বিতর্কের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২০১৩ সালে প্রতি জেলাপিছু যা কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, তার চেয়েও কম পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা রাজ্যের জন্য চেয়ে আবেদন করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জেলাপ্রতি মাত্র এক কোম্পানি বাহিনী চেয়ে আবেদন কমিশনের। আদালতে নির্বাচন কমিশনার জানান, প্রাথমিক মূল্যায়নে ৬১,৬৩৬ বুথের মধ্যে ১৮৯টি স্পর্শকাতর। এই বুথের জন্য কিছু অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্যের কাছে সেই সাহায্য চাওয়া হবে। তাতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাদের।
রাজ্য সরকার এইদিন জানায়, পাঁচ রাজ্য থেকে তাদের তরফে পুলিশ চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর এর উত্তরে উচ্চ আদালত বলেছে, “তার মানে আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত পুলিশ নেই! তাই আপনারা প্রায় আধ ডজন রাজ্যের কাছে সাহায্য চেয়েছেন?” আদালত আরও বলেছে, নির্বাচন করানো মানে হিংসার লাইসেন্স দেওয়া নয়।
২০১৩ সালে, কেন্দ্রীয় বাহিনী না এনেই এক দফায় পঞ্চায়েত ভোট করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট অবধি গেছিলেন তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। শেষমেশ সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ৫ দফায় পঞ্চায়েত ভোট করিয়েছিলেন মীরা পাণ্ডে। আজ সেই ঘটনার ১০ বছর পর, ২০২৩-এ এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কমিশনার রাজীব সিনহার নেতৃত্বাধীন রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এই বিষয়ে মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন আদালত প্রশ্ন তোলে, যেখানে পর্যাপ্ত পুলিশবাহিনী নেই রাজ্য সরকারের হাতে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে কলকাতা হাইকোর্ট যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিখরচায় বাহিনী পাঠাতে বলেছে, সেখানে আদালতের নির্দেশ মানতে অসুবিধে কোথায়?
সর্বোচ্চ বিচারপতি বললেন, ‘কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে না পারলে পদ ছেড়ে দিন কমিশনার…না পারলে পদ ছাড়ুন, নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল’।