বৃহস্পতিবার রাতে গুজরাতের উপকূলীয় অঞ্চলের স্থলভাগে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়-এর তীব্রতা হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। আইএমডি সূত্রে খবর অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে বিপর্যয়। সমুদ্রের উপর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণই শক্তি সঞ্চয় করতে পারে ঘূর্ণিঝড়। তারপরেই ক্রমশ অগ্রগতি হয় ঝড়ের।
শেষ পর্যন্ত উপকূলের কাছে এসেছে আছড়ে পড়ে। ল্যান্ডফলের মুহূর্তে তীব্র শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়লেও, ভূমিভাগে ঢোকার পর থেকেই ক্রমশ শক্তি হারাতে থাকে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপর একসময় শক্তি কমে পরিণত হয় অতি গভীর নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে। বিপর্যয়-এর জেরে আহত হয়েছে অন্তত ২২ জন। ভেঙে পড়েছে শত শত গাছ। গুজরাতের মোরবিতে প্রবল ঝড়ে ৩০০-র বেশি বিদ্য়ুতের খুঁটি নষ্ট হয়েছে। ঝড়ের পর লন্ডভন্ড গুজরাত।
NDRF এর তথ্য অনুসারে, ২৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন । মারা গিয়েছে ২৪ টি পশু। সাইক্লোনের ল্যান্ডফল হওয়ার আগেই ঝড়ের জেরে মারা গিয়েছে ২ জন। গত কয়েক দিনে ভারত সহ পাকিস্তানের উপকূল থেকে ১৮০০০০ জনেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে ত্রাণ শিবিরেরও।
বিপর্যয় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর গুজরাতের বেশ কিছু অংশে বাড়িঘর ও গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে উপকূলে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল হয়ে গেলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বজায় থাকবে ২৪-৪৮ ঘন্টা। উত্তর গুজরাত এবং দক্ষিণ রাজস্থানের কিছু অংশে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে বলে জানা গেছে।
আইএমডি-র ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, “ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গেছে এবং গুজরাটের জাখাউ বন্দরের কাছে পাকিস্তান উপকূল সংলগ্ন সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অতিক্রম করে চলে গিয়েছে বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়টির তীব্রতা ১০৫-১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় নেমে এসেছে। এর প্রভাবে শুক্রবার রাজস্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।”