Close

উপাচার্য নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপালের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে।

উপাচার্য নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক। আগামী সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বুধবার রাজ্যের ১৪টি উপাচার্যবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অস্থায়ী উপাচার্য-এর নাম ঠিক করতে আলোচনায় বসেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজভবন থেকে চিঠি যায়। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাবাসাহেব অম্বেডকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়— এই ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে রাজভবন থেকে অস্থায়ী উপাচার্য পদে নিয়োগের যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে কোথাও নিয়োগ (অ্যাপয়েন্টমেন্ট) কথাটি নেই। এর পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, গোটা বিষয়টিই রাজভবন করেছে ‘একতরফা ভাবে’। উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে কিছুই জানানো হয়নি। ব্রাত্য ঘোষণা করেছিলেন, শিক্ষা দপ্তর এই উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। তিনি ওই ১১ জনের কাছে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে ‘সসম্মান অনুরোধ’ জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা যেন পদ প্রত্যাহার করেন। যদিও বিফলে যেতে দেখা গিয়েছিল ব্রাত্যর অনুরোধ‌। ১০ জনই আচার্যের দেওয়া পদ গ্রহণ করেছিলেন। এক জন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিয়োগ গ্রহণ করেননি। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর ছিল, রাজভবনের সঙ্গে বিবাদে আইনি রাস্তা অবলম্বন করতে পারে বিকাশ ভবন। আর গতকালই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল।

এর আগে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোজা সাপটা বলেন যে উপাচার্য নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল গ্রহণ করেছেন তা অনৈতিক কারণ তা সার্চ কমিশন অনুমোদিত ছিল না। তখনই তিনি বলেন এই নিয়োগীকৃত উপাচার্যদের তিনি স্বীকৃতি দেবেন না।

Leave a comment
scroll to top