গত চারমাস ধরে আন্দোলন করছেন কুস্তিগিরেরা। প্রথম থেকে তাঁদের দাবি ছিল, তাঁদের আন্দোলনে যেন পাশে থাকেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা।
ক্রিকেটারদের জনপ্রিয়তা কুস্তিগিরদের থেকে তুলনায় অনেক বেশি। তবে যে কারণেই হোক কুস্তিগিরদের হয়ে এর আগে প্রকাশ্যে কথা বললেননি ক্রিকেটাররা। তবে গতকাল ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্যরা বিবৃতি দিয়ে কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রথমে দলের প্রতিটা সদস্য থাকলেও পরেরদিকে এই বিবৃতি থেকে পিছিয়ে এলেন রজার বিনি।
সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বিনি জানান, কুস্তিগিরদের হয়ে যেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তার সাথে তিনি যুক্ত নন। তিনি বলেন, ‘কিছু মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে যেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে, সেই প্রসঙ্গে আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই যে আমি কুস্তিগিরদের বর্তমান আন্দোলন নিয়ে কোনও বিবৃতি দিইনি। আমি বিশ্বাস করি এই বিষয়ে যোগ্য ব্যক্তিরা ঘটনার তদন্ত করছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার হিসেবে, আমি বিশ্বাস করি খেলাকে রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়।’
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম নাম রজার বিনি। বর্তমানে তিনি BCCI-এর প্রেসিডেন্ট। ফলে বিশ্বকাপ জয়ী দলের পক্ষ থেকে যখন বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তখন সেখানে তাঁর নাম দেখে বেশ চমকে গিয়েছিলেন অনেকে।
একদিক থেকে BCCI-এর সঙ্গে যুক্তরা যেখানে সবাই দূরত্ব বজায় রাখছেন সেখানে রজার বিনির এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছিলেন অনেকে। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য সেই ভুল ভাঙে।
এর আগে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ মুখ খুলেছিলেন কুস্তিগিরদের পক্ষে। তিনি বলেছিলেন, ‘দিল্লি পুলিশ যেভাবে আমাদের কুস্তিগিরদের সঙ্গে ব্যবহার করেছে তা নিন্দনীয়। কুস্তিগিররা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। আমাদের মহিলা কুস্তিগিররা কঠোর পরিশ্রম করছেন, ওরা দেশের জন্য খেলেন ও পদক জেতেন। ওদের সঙ্গে এভাবে আচরণ করা ঠিক নয়। আমি বলেছি পদক গঙ্গায় বিসর্জন না দিতে, কারণ ওটা দেশের সম্মান।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে হাফ ডজনের বেশি মেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, তাঁর বিরুদ্ধে যখন POCSO আইনে মামলা হয়েছে, তাহলে ওকে এক্ষুণি গ্রেফতার করা উচিত।’
তবে এখনও পর্যন্ত যত ক্রিকেটার কুস্তিগিরদের সমর্থন করছেন প্রত্যেকে তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশি আক্রমণের নিন্দা করেছেন।