মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের জন্য শীর্ষ সম্মেলন’ এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত মঙ্গলবার, ২৮শে মার্চ বলেছেন যে এই সম্মেলন আদতে ওয়াশিংটনের নব্য ঔপনিবেশিক অনুশীলনের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়, কারণ এই সম্মেলন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা অন্য দেশগুলিকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ারসমূহকে বৈধতা দিতে চায়। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস একটি প্রতিবেদনে এটি জানিয়েছে।
জাখারোভা আরও জানান যে এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রচেষ্টার পিছনে রয়েছে বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণের মার্কিন হাতিয়ারগুলিকে সময়োপযোগী এবং বৈধ করা এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছা। তার মতে ২৮-৩০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত “গণতন্ত্রের জন্য শীর্ষ সম্মেলন” টি আসলে বিশ্বের অন্য দেশগুলিকে ওয়াশিংটনের বৈশ্বিক স্বার্থের জন্য প্রচারিত ‘নিয়ম-ভিত্তিক আদেশ’-এর প্রিজমের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখতে বাধ্য করার একটি প্রচেষ্টা।
গত মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বেজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘গণতন্ত্রের জন্য শীর্ষ সম্মেলন’-এর মূল লক্ষ্য বিভক্তি সৃষ্টি করা। মাও আরও বলেন যে একতরফাভাবে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নির্ধারণ করার অধিকারও যুক্তরাষ্ট্রের নেই এবং এই ব্যাপারে চীন রাশিয়ার সাথে একমত। চীনের সংবাদমাধ্যম সিআরআই একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
চীনা মুখপাত্র বলেন, তাঁর দেশ ইতিমধ্যেই তথাকথিত ‘গণতন্ত্রের জন্য শীর্ষ সম্মেলন’ বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।তিনি জানান যে প্রথম সম্মেলনেই এর অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি ফুটে উঠেছিল কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা উপেক্ষা করে দ্বিতীয় সম্মেলন আয়োজন করে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মিথ্যা গণতন্ত্র ও সত্যিকারের আধিপত্যবাদ’ প্রতিফলিত হয়।
২৮-৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে চলা ‘গণতন্ত্রের জন্য শীর্ষ সম্মেলনে’ ভারত, পাকিস্তান সহ ১১০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতবার আমন্ত্রণ পেলেও এইবার আমন্ত্রণ পায়নি ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশ, অন্যদিকে আমন্ত্রণ পেয়েও গতবারের ইমরান খান সরকারের মত এইবার শাহবাজ শরীফের পাকিস্তান সরকারও সম্মেলনে যোগ দেয়নি।