একটি ইরাকি সংগঠন সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত দখলদার মার্কিন সেনাদের একটি ঘাঁটিতে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে, জানিয়েছে ইরানের সংবাদ সংস্থা পার্স টুডে। গত বৃহস্পতিবারের ড্রোন হামলাটিতে অন্তত পাঁচ মার্কিন সেনা আহত ও একজন মার্কিন ঠিকাদার নিহত হয়।
গত রবিবার, ২৬শে মার্চ, প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইরাকি সংগঠন লিউয়া আল-গ্বালিবুন বলেছে, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে দখলদার মার্কিন সেনারা যেসব অপরাধ করে যাচ্ছে তার বৈধ জবাব দিতে সিরিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, সিরিয়া ও ইরাক থেকে দখলদার মার্কিন সেনাদের সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ ধরনের হামলা চলতেই থাকবে। আল-গ্বালিবুনের বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইরাক থেকে সম্পূর্ণ সরে না যাওয়া পর্যন্ত এক মুহূর্তের জন্যও নিরাপদ বোধ করবে না।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা পেন্টাগন জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার হাসাকা শহরের কাছে তাদের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়।
পার্স টুডের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “সন্ত্রাসী গোষ্ঠী” দায়েশ বা আইসিস বিরোধী যুদ্ধ করার অজুহাতে সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। অথচ ২০১৭ সালে ইরান ও রাশিয়ার সহযোগিতায় দায়েশকে নির্মূল করেছে সিরিয়া।
পার্স টুডে বলেছে, বাস্তবতা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সিরিয়ার পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। তারা সেখান থেকে তেল সম্পদ চুরি করছে এবং গমও লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।