তীব্র খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কবলিত আফগানিস্তান। ৭ই মার্চ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া ৫ দেশের বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান আফগানিস্তানের খাদ্য সাহায্য পাঠাবে তার সরকার। ভারত ২০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠাবে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে। তবে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে নয়, ইরানের চাবাহার বন্ধরের মধ্যে দিয়ে এই গম পৌঁছাবে আফগানিস্তানে। একই সাথে সে দেশে মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার জন্য রাজনৈতিক পরিকাঠামো সংস্কারের দাবিও জানিয়েছে দিল্লি।
মঙ্গলবার কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজধানী দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় ভারত-মধ্য এশিয়া “জোয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ” এর প্রথম বৈঠক। এই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্তের কথা জানায় ভারত। পাকিস্তানের সরক পথে আফগানিস্তানে পন্য পরিবহনের মেয়াদ শেষ হয়েগেছে, নতুন মেয়াদ বৃদ্ধির আলোচনাও এগোয়নি। তাই এবার চাবাহার বন্দরের পথে পৌছবে গম। এরই মধ্যে পাকিস্তানে তালিবানের নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য আফগান তালিবানের সাথে পাক সরকারের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত একই দিনে তাসখন্দে আফগানিস্তানের বিষয়ে চীন,পাকিস্তান,রাশিয়া এবং ইরান বৈঠকে বসেছে।
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে UNWFP-এর সাথে অংশীদারিত্বে আফগানিস্তানে ২০,০০০ মেট্রিক টন গম সহায়তা দেওয়ার অঙ্গিকার করেছে।”
ভারত ২০২১ সালের অক্টোবরে প্রস্তাব করেছিল, পাকিস্তানের মাধ্যমে সড়কপথে ৫০হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হবে। আনুষ্ঠানিক আলোচনার পরে, পাকিস্তান ২০২১ সালের নভেম্বরে সম্মতি দেয় এবং ভারতীয় গম বহনকারী প্রথম ট্রাকগুলি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের রাস্তা ধরে আফগানিস্তান পৌছেছিলো।
পাকিস্তান কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র ৪০হাজার মেট্রিক টন গম পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল ভারত। যদিও সময়সীমা নিয়ে পাকিস্তানের সাথে সমস্যা হওয়ায় বাকি ১০হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো বাকি ছিলো। এবার চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ২০হাজার মেট্রিক টন গম পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিলো ভারত।
.