গতকাল, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ইউরোপা লীগ প্লে অফের দ্বিতীয় লেগের খেলায় ম্যাঞ্চেসটার ইউনাইটেড বার্সেলোনাকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শেষ ষোলোয় প্রবেশ করল।
এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যু কাম্পে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগের খেলা ২-২ ফলে অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়। বর্তমানে উয়েফা অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা তুলে দেওয়ায় গতকালের ম্যাচে তাই দুই পক্ষই জেতার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল। বার্সেলোনা খেলার ১৮ মিনেটের মাথায় রবার্ট লেওয়ানডওস্কির গোলে এগিয়ে যায় কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৪৭ ও ৭৩ মিনিটের মাথায় যথাক্রমে ফ্রেড আর অ্যান্টনি গোল করে ইউনাইটেডকে বাজিমাত করতে সাহায্য করে।
জ্যাভির তত্বাবধানে থাকা বার্সা টিম ঘরোয়া লীগে প্রথম স্থানে থাকলেও ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে তাদের প্রদর্শন ভাল নয়। এর আগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে তাড়াতাড়ি বিদায় নেওয়ার পর এবার ইউরোপা লীগেও তাদের খারাপ প্রদর্শন অব্যাহত থাকল । বার্সা গতকালের ম্যাচে ভাল শুরু করেছিল এবং প্রথমার্ধে যথেষ্ট দাপটের সাথেই তারা খেলে, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ম্যান ইউ কোচ এরিক টেন হ্যাখের কিছু বুদ্ধিদীপ্ত পরিবর্তনে ম্যাচের রাশ আস্তে আস্তে খোয়াতে থাকে বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্রুনো ফার্নাডেন্ডেজের পাস থেকে ফ্রেডের গোল ম্যান ইউয়ের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে, এরপর ৭৩ মিনিটে ওয়েগহর্স্টের পরিবর্ত হিসেবে নামা অ্যান্টনি কর্নার থেকে বল পেয়ে বার্সা গোলকিপার টের স্টেগানকে পরাস্ত করে।
মরসুমের শুরুতে ফ্রেঙ্কি ডি য়ং কে নিয়ে ম্যান ইউয়ের সাথে বার্সার যে টানাপোড়েন হয়েছিল তার প্রভাবে এদিন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের গ্যালারি যথেষ্ট উত্তেজিত ছিল। খেলা শেষের পর ম্যান ইউ গ্যালারি থেকে ডি য়ং কে বিদ্রুপ করতেও দেখা যায়। বার্সা কোচ জ্যাভি খেলা শেষের পর জানায় তাদের কিছু ছোটখাটো ভুলই শেষ পর্যন্ত বড় হয়ে দেখা দিল। এদিকে টেন হ্যাখ বার্সার বিরুদ্ধে এই জয়কে তার কোচিং জীবনের এক অন্যতম সেরা সাফল্য হিসেবে অভিহিত করেছে। তার মতে এই জয়ের ফলে দল হিসেবেও ইউনাইটেড রবিবারের ক্যাপিটাল ওয়ান কাপ ফাইনালে প্রচুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামবে।
ম্যান ইউয়ের সাম্প্রতিক প্রদর্শন যে তাদের সমর্থকদের দল নিয়ে হৃত আত্মবিশ্বাস আস্তে আস্তে ফিরিয়ে আনছে তা ফুটবল পন্ডিতরা মেনে নিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন ২০১৩ র পর থেকে প্রিমিয়ার লীগ না জেতা ও ট্রফির খরায় ভোগা ইউনাইটেডকে নিয়ে তাদের সমর্থকরা আবার স্বপ্ন দেখতে পারে। শুধু তাই নয়, ইউনাইডের এই পিছিয়ে পড়ে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার মধ্যে অনেক সমর্থক আবার ফার্গি যুগের ছায়া দেখতে পাচ্ছে, যদিও ফুটবল পন্ডিতরা এখনই টেন হ্যাখের ইউনাইডের সঙ্গে স্যার অ্যালেক্সের সময়ের ইউনাইটেডকে তুলনা করাকে বাড়াবাড়ি বলে দিচ্ছেন।