গত সপ্তাহে ঢাকার রাজপথে ধোঁয়া উঠেছিল। ইসলামপন্থী মব সংবাদপত্র অফিস ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে। বিশ্ব গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার খবর শিরোনাম হয়েছে। অথচ এই কোলাহলের আড়ালে অন্য একটি সংগ্রাম—যার দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি আরও সুদূরপ্রসারী—নীরবে পত্রিকার প্রথম পাতা থেকে সরে গেছে।
বিগত কয়েক মাস ধরে শ্রমিক, বামপন্থী ও বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরা চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন। এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের ৯২% বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। এখানে সরাসরি ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। গত অর্থবছরে বন্দরটি ৪২ কোটি ডলার রাজস্ব আয় করেছে। এখন, যখন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা জনমনোযোগ গ্রাস করেছে, সমালোচকরা আশঙ্কা করছেন যে বন্দর রক্ষার আন্দোলন অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে।
সমালোচকদের অভিযোগ, গত ১৮ই ও ১৯শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল, তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, বন্দর হস্তান্তরের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমন করতেই অন্তর্বর্তী সরকার এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে দিয়েছে।
একটি মৃত্যু, একটি বিভ্রান্তি এবং কূটনৈতিক সংকট
সহিংসতার সূত্রপাত হয় চরমপন্থী ইসলামি সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর। ১৮ই ডিসেম্বর তিনি মারা যান। এর ছয় দিন আগে মোটরসাইকেল আরোহী বন্দুকধারীরা তাঁকে গুলি করেছিল। হাদির সমর্থকরা হামলাকারীদের নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের কর্মী বলে চিহ্নিত করেছে। অভিযোগ উঠেছে যে তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
হাদির মৃত্যু দেশজুড়ে অস্থিরতার জন্ম দেয়। পাশ্চাত্যে বসবাসকারী দুই জন প্রভাবশালী সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী আগুনে ঘি ঢালেন। রাজধানীতে জনতা তাণ্ডব চালায়। ময়মনসিংহে তারা দীপু দাস নামে এক হিন্দু পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে।
হাদির ওপর হামলার পর ঢাকায় ভারতীয় মিশনের সামনে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তার প্রতিবাদে ভারত ১৭ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। হামলাকারীদের ভারত আশ্রয় দিয়েছে—এই অভিযোগ বিক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছিল। রোববার, ২১শে ডিসেম্বর, ঢাকা অভিযোগ করে যে হিন্দুত্ববাদী চরমপন্থীরা নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে প্রবেশ করেছে। নয়াদিল্লি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই কূটনৈতিক বিবাদ এখন শিরোনাম দখল করে আছে। সম্ভবত এটি আরও তীব্র হবে। এদিকে, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বন্দর এলাকায় সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বামপন্থী কর্মীরা বলছেন, এতে চট্টগ্রাম বন্দর হস্তান্তরের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ আন্দোলন পঙ্গু হয়ে যাবে।
বন্দর চুক্তি যা বাংলাদেশের বিভক্ত বিরোধী দলগুলোকে এক করেছে
চট্টগ্রাম বন্দর খুব কমই বাংলাদেশের বিবদমান রাজনৈতিক অঙ্গনকে ঐক্যবদ্ধ করে। কিন্তু বেসরকারিকরণ পরিকল্পনা ঠিক সেই কাজটিই করেছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) বাম জোটের বিরোধিতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এই হস্তান্তরকে “দেশবিরোধী” বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং সরকারকে সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থ রক্ষার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোট মশাল মিছিলের আয়োজন করেছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম ফ্রন্ট ও গণসংহতি আন্দোলনও এই কাতারে শামিল হয়েছে। সিপিবিসহ বাম শক্তিগুলো ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনা “ঘেরাও” করার হুমকি দিয়েছে।
মধ্যপন্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সাংবিধানিক যুক্তিতে এই চুক্তির বিরোধিতা করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ১৮ই মে ঘোষণা করেন যে এই ধরনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ম্যান্ডেট অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। লন্ডনপ্রবাসী এই নেতা বলেন, “এই ধরনের সিদ্ধান্ত জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ বা সরকারকে নিতে হবে।”
এমনকি চরমপন্থী ইসলামি দল জামায়াতে ইসলামীও বিরোধী পক্ষে যোগ দিয়েছে। দলের আমির ড. শফিকুর রহমান এই হস্তান্তরকে “জাতীয় স্বার্থবিরোধী” বলে আখ্যায়িত করেছেন। দলীয় নেতারা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটির কাছে বিদেশি অপারেটর থাকার নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সরকারপন্থী জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি সূক্ষ্ম অবস্থান নিয়েছে। তারা প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছে, তবে বন্দর পরিচালনা আধুনিকায়নের দাবি জানিয়েছে, কারণ এটি বিশ্বব্যাপী দক্ষতায় ৪০৫টি বন্দরের মধ্যে ৩৫৬তম স্থানে রয়েছে।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ কী হারাতে পারে
এই ঝুঁকি সাম্প্রতিক যেকোনো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তকে ছাপিয়ে যায়। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের ৯৮% কন্টেইনার পরিবহন সামলায়। জাহাজগুলোকে মাল খালাস করার জন্য চার থেকে সাত দিন অপেক্ষা করতে হয়, যেখানে বিশ্বমান ২৪ ঘণ্টারও কম। কন্টেইনার গড়ে ১১ দিন পড়ে থাকে, যেখানে অন্যত্র মান হলো তিন দিন।
অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তি দিচ্ছে যে বিদেশি অপারেটররা এই সমস্যার সমাধান করবে। মার্স্কের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালস ২০২৪ সালের নভেম্বরে লালদিয়া কন্টেইনার টার্মিনালের জন্য ৫৫ কোটি ডলারের ৩৩ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে পাতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল ২২ বছরের জন্য নিয়েছে। সুইজারল্যান্ডের মেডলগ পাংগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল পেয়েছে।
সবচেয়ে বিতর্কিত হলো নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)। এটি মোট কন্টেইনার পরিবহনের ৪৪% সামলায়। গত অর্থবছরে এটি ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার রাজস্ব আয় করেছে। বাংলাদেশ ২০০৭ সালে ২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে এটি নির্মাণ করেছে। এটি ইতিমধ্যে লাভজনক।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড ২৫-৩০ বছরের জন্য এনসিটি চায়। কিন্তু ৪ঠা ডিসেম্বরের হাইকোর্ট শুনানিতে বিভক্ত রায় এসেছে। বিচারপতি ফাতেমা নাজিব চুক্তি প্রক্রিয়াকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার আবেদনকারীর যোগ্যতার অভাবে আবেদন খারিজ করেছেন। জানুয়ারির পর তৃতীয় বিচারপতি মামলাটি শুনবেন।
বন্দর শ্রমিকরা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন। ডিপি ওয়ার্ল্ডের অধীনে এনসিটির এক হাজারেরও বেশি কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। ৯০% সংগঠিত শ্রমিকের প্রতিনিধিত্বকারী শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ১৩ দফা দাবিনামা প্রকাশ করেছে। তারা সব বেসরকারিকরণ বন্ধ চায়।
তবে, পশ্চিমা বিশ্বের আস্থাভাজন বলে পরিচিত ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নীরব রয়েছে।
পাশ্চাত্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উস্কানিদাতারাও এই বিষয়ে চুপ, যদিও তারা মাঝে মাঝেই সার্বভৌমত্ব হারানোর বিলাপ করেন।
সময়ের সমাপতন কেন সন্দেহ জাগায়
সমালোচকরা সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতে একটি প্যাটার্ন দেখছেন। বন্দর বিরোধী আন্দোলন ডিসেম্বরের প্রথম দিকে তুঙ্গে ওঠে। এর আগে, বন্দর শ্রমিকরা ১লা নভেম্বর গণ অনশন করেছিলেন। ২০শে নভেম্বর বুদ্ধিজীবীরা চুক্তির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিলেন। ২৬শে নভেম্বর শ্রমিকরা বন্দরের তিনটি প্রবেশপথ অবরোধ করেছিলেন। ১০ই ডিসেম্বর লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
তারপর ১২ই ডিসেম্বর হাদিকে গুলি করা হয়। তারপর এক সপ্তাহ পর তাঁর মৃত্যু। তারপর বাংলাদেশ সহিংসতায় ছেয়ে যায়। তারপর নিরাপত্তা বিধিনিষেধ।
বামপন্থী কর্মীরা একে কাকতালীয় বলছেন না। তাঁরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ১৯৮০-এর দশক থেকে ইসলামপন্থী সহিংসতা দেখে আসছে, যখন স্নায়ুযুদ্ধের সময় পেট্রোডলার সালাফি রাজনীতিতে অর্থায়ন করত। এখন যা আলাদা, তাঁদের যুক্তি অনুযায়ী, তা হলো বন্দর চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে এই সময়ের সুবিধাজনক সমাপতন।
মৃত্যু-পরবর্তী অস্থিরতার সময় অন্তর্বর্তী সরকার নিষ্ক্রিয় ছিল। সহিংসতা থামার পরই তারা নিরাপত্তা জোরদার করে। সেই বিধিনিষেধ এখন তাদের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনগুলোকেই বাধাগ্রস্ত করছে।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সাংবিধানিক আপত্তি স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে প্রবেশ করার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ক্ষমতায় আনেনি।”
আঞ্চলিক নজির সতর্কবার্তা দিচ্ছে
বিদেশি অপারেটরদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়া খুব কমই ভালো ফল এনেছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশীরা সতর্কতামূলক দৃষ্টান্ত দিচ্ছে। পাকিস্তান ২০১৩ সালে গোয়াদার বন্দর ৪৩ বছরের লিজে চায়না ওভারসিজ পোর্ট হোল্ডিং কোম্পানিকে দিয়েছিল। ২০২২-২৩ সালে গোয়াদার পাকিস্তানের মাত্র ১% সমুদ্রবাণিজ্য সামলেছে। চীন সামুদ্রিক রাজস্বের ৯১% রাখে। স্থানীয় বেলুচ জনগোষ্ঠী উচ্ছেদ ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদ করছে। গোয়াদার বন্দর এলাকা এই কারণেই অস্থিতিশীল অঞ্চল হয়ে আছে।
শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দর ২০১৭ সালে ৯৯ বছরের লিজে চায়না মার্চেন্টস পোর্ট হোল্ডিংসের কাছে চলে যায়। এই ঋণ-ইক্যুইটি বিনিময় অবকাঠামো অর্থায়নের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব হারানোর বৈশ্বিক প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমনকি ডিপি ওয়ার্ল্ড, যারা এখন এনসিটির জন্য আলোচনা করছে, তারাও অন্যত্র প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ২০০৬ সালে মার্কিন কংগ্রেস জাতীয় নিরাপত্তার কারণে তাদের ছয়টি আমেরিকান বন্দর টার্মিনাল অধিগ্রহণ আটকে দিয়েছিল। বাংলাদেশি বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, একই যুক্তি তাদের দেশে কেন প্রযোজ্য হবে না।
তদুপরি, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত অবস্থান। এখানে শুধু বন্দর নয়, বাংলাদেশের জীবনরেখা, এটি ভারতের অশান্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারের কাছেও অবস্থিত। এই অঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগও সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ ও বন্দরের জন্য এরপর কী
আইনি লড়াই চলছে। হাইকোর্টের বিভক্ত রায়ের অর্থ তৃতীয় বিচারপতি রায় না দেওয়া পর্যন্ত অনিশ্চয়তা। অন্তর্বর্তী সরকার পিছু হটার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না। ইউনূস বন্দর সংস্কারকে তাঁর স্বাক্ষরসূচক অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছেন।
ইউনূসের সমালোচকরা তাঁর এই তাড়াহুড়োকে একটি সুপরিকল্পিত ছকের অংশ বলছেন, যার লক্ষ্য জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশে পশ্চিমা স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করা।
এদিকে, হাদি-পরবর্তী পর্বে রাজপথের আন্দোলনগুলো অভূতপূর্ব বাধার মুখে পড়েছে। নিরাপত্তা বিধিনিষেধ ভিন্নমত দমনে সাহায্য করবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা রাজনৈতিক মনোযোগ গ্রাস করবে। সহিংসতার বয়ান আন্তর্জাতিক সংবাদে অর্থনৈতিক উদ্বেগকে চাপা দিতে থাকবে।
বিড়ম্বনা তীক্ষ্ণ। জনঅভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেওয়া একটি সরকার এখন অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্বে জনবিরোধিতা উপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের জনগণের বন্দর বিদেশিদের হাতে চলে যেতে পারে, যখন সেই জনগণ সাম্প্রদায়িক দাবানলে মনোযোগ দিচ্ছে।
বিশ্ব বাংলাদেশের ধর্মীয় সহিংসতা দেখছে। দেশের বাণিজ্যিক জীবনরেখা নিয়ে নীরব সংগ্রামে তার মনোযোগ কম।
এই অমনোযোগই চট্টগ্রাম বন্দর চুক্তি এগিয়ে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সম্পদ হতে পারে।
শ্রমিক, বামপন্থী ও বিরোধী রাজনীতিবিদদের জন্য লড়াই চলছে। এখন তাঁদের এটি আরও কঠিন পরিস্থিতিতে চালাতে হবে।
