আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই নূন্যতম মজুরি তুলে দিতে চাইছে ভারত সরকার। বদলে আসবে ‘লিভিং ওয়েজ’। ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদন মারফৎ জানা গিয়েছে, ভারত সরকার নূন্যতম মজুরি ব্যবস্থা তুলে দিয়ে বদলে লিভিং ওয়েজ ব্যবস্থা আনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরামর্শ চেয়েছে। মানুষের মৌলিক চাহিদা – বাসস্থান, খাদ্য, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, বস্ত্রের মতো বিষয়গুলির ক্রয়ক্ষমতা যাতে তৈরি হয়, সেই সমপরিমাণ মজুরির ভাবনাকেই ‘লিভিং ওয়েজ’ বলা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাও এই ‘লিভিং ওয়েজ’ ভাবনাকে সমর্থন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতে চালু নূন্যতম মজুরি ব্যবস্থায় যত আয় হয় তার চেয়ে বেশি আয় হবে মানুষের। লকডাউনের পর থেকে বেকারত্বের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার সঙ্কুচিত হয়েছে। এই অবস্থায় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে দেশের কর্মজীবী মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ। এর আগে জেনেভাতে নিজেদের সাধারণ সভায় এই ‘লিভিং ওয়েজ’ ভাবনাকে গ্রহণ করেছিল আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে ৫০ কোটি শ্রমিক ন্যূনতম মজুরি পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত। অপর দিকে ভিন্ন রাজ্যের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা ন্যূনতম মজুরির মান স্থির করা হয়। তবে গড়ে প্রায় দৈনিক ১৭৬ টাকার আশেপাশেই ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হয় এখন দেশে। এদিকে ২০১৯ সালে বেতন বিধি পাশ হয়েছিল সংসদে কিন্তু তা কার্যকর হয়নি এখনও। এই বিধি কার্যকর হলে সব রাজ্যে সমান পরিমাণ ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হত দেশে। ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েছে ভারত। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার ন্যূনতম মজুরির বদলে দেশে ‘লিভিং ওয়েজ’ চালু করার ভাবনা গ্রহণ করা হয়েছে।