গাজায় ইসরায়েল এবং হামাস সহ অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর আভ্যন্তরীন সংঘর্ষ মধ্যপ্রাচ্যে স্টারবাকস ও ম্যাকডোনাল্ডের বিপননকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে এই দুই মার্কিনী ফাস্ট-ফুড চেইন বলেছে। সোমবার প্রকাশিত ম্যাকডোনাল্ডস-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকের আয় বাজারের প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল বলে এই বার্গার জায়ান্ট মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের প্রভাব উল্লেখ করে জানিয়েছে। লাইসেন্সকৃত ফ্র্যাঞ্চাইজি বাজারে বিক্রয় বৃদ্ধিও প্রত্যাশার চেয়ে অনেকটাই বেশি পরিমাণে দুর্বল ছিল। চলতি প্রতিবেদন পেশ করার পর ম্যাকডোনাল্ডের শেয়ার আরও প্রায় ৪% কমেছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও একটি আমেরিকান কোম্পানি, কফি ফ্র্যাঞ্চাইজি স্টারবাকস, গত সপ্তাহে প্রকাশ করেছে যে এটি ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বিক্রয় হ্রাসের মধ্যেই ওয়াল স্ট্রিট আয়ের পূর্বাভাসও মিস করেছে। এই কফিহাউস চেইনটি গাজার সংঘাতের প্রভাবের পাশাপাশি বিদেশী বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বারা বাড়তি ছাড়ের কথাও উল্লেখ করেছে। ম্যাকডোনাল্ডস ও স্টারবাকস, দুটি রেস্তোরাঁ জায়ান্টই বেশ কয়েকটি এমন পশ্চিমা ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে যারা গত কয়েক মাসে তাদের অনুভূত ইসরায়েলপন্থী অবস্থানের জন্য তাদের বিরুদ্ধে বয়কট প্রচারণা দেখেছে।
ম্যাকডোনাল্ডস বলেছে যে কোম্পানিটি মুসলমানপ্রধান দেশগুলিতে দুর্বল বিক্রি দেখেছে, যেমন মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া এবং ফ্রান্সে, যেখানে পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। ম্যাকডোনাল্ডস এর অভ্যন্তরীণ বিক্রয়ের উপর কোন প্রভাব লক্ষ্য করেনি। স্টারবাকস গত সপ্তাহে স্বীকার করেছে যে বয়কট শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এর বিক্রয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। গাজা যুদ্ধে ইতিমধ্যে ২৭০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং যুদ্ধের জেরে বিশ্বের ফিলিস্তিনপন্থী মানুষ এখনও এই দুই ফুড জায়ান্ট সহ ক্যাডবরি, নেসলের মতো ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে বয়কট প্রচারণা চালাচ্ছে। এর ফলে মুসলমানপ্রধান দেশগুলিতে স্থানীয় পণ্যগুলি সাময়িক লাভের মুখ দেখছে বলেও জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের সমর্থনে লোহিত সাগরে হুথি অভিযান শুধু যে শিপিং ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করেছে তাই নয়, একই সাথে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলেছে।