পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় (এফটিআইআই) গত তেইশে জানুয়ারি তথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল। আয়োজকেরা জানিয়েছেন আনন্দ পট্টবর্ধনের রাম কে নাম তথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছে এবং অভিযোগ করেছেন যে গেরুয়া বাহিনীর আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন পড়ুয়ারা। তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে আক্রমণটি ২৩শে জানুয়ারি দুপুর ১:৩০টা নাগাদ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, “গত পরশু (২১শে জানুয়ারি) বা তার আগের রাতে আমাদের গেটের সামনে এসে স্লোগানিয়ার করে গ্যাছে। বলে গ্যাছে আরো লোক নিয়ে আসবো। আমাদের পক্ষ থেকে সিকিওরিটি কে বলা হয়েছিল তৈরি থাকতে। ওরা আশ্বাস দিয়েছিল ব্যবস্থা করা হবে। গতকাল আমাদের এই ব্যানার লাগানো হয় স্টুডেন্ট কমিউনিটি এর পক্ষ থেকে আর সন্ধ্যায় In the name of God স্ক্রিনিং হয়। রাতে পটবর্ধন স্যার এর সাথে ভিডিও কল হয়।…আজ দুপুরে সিকিওরিটি এর সামনে দিয়ে গেরুয়া গুন্ডারা পোস্টার পুড়িয়ে দেয়। গেট দিয়ে এরা ঢোকার সময় আমাদের SA প্রেসিডেন্ট সিকিওরিটি এর সাথে কথা বলতে এগিয়ে যায়। তাকে ফেলে মারা হয়, জামা ছিঁড়ে যায়, হাত রক্তারক্তি।”
তারা আরও জানায়, “এরপর ভেতরে ঢুকে পোস্টার জ্বালায়, ভাঙচুর করে। জেন সেক সিকিওরিটি এর সাথে কথা বলতে গেলে ওকে মারা শুরু করে। ওকে বাঁচাতে গিয়ে প্রচুর লোক মার খায় এমনকি ছাত্রীরাও। অ্যাডমিন অত্যন্ত ক্যাসুয়ালি সিচুয়েশন ডিল করে, রেজিস্ট্রার খুব কষ্টে এক-দেড় বার দেখা করে, ও প্রথমে পাত্তাই দেয়নি ঘটনাটা। পুলিশ আসে, চারজন যারা মার খেয়েছে তাদের পুলিশ প্রটেকশন দিয়ে হাসপাতাল এ নিয়ে যেতে অ্যাডমিন দেরি করে। ওরা থানায় যাওয়ার পর বাইরে গেরুয়া লোকজন থানার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল।”
এরপর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও। আক্রান্ত পড়ুয়ারা জানিয়েছে যে তাঁদের মারধর করার পরেও কোনোমতেই মেডিকেল টেস্ট করানো হয়নি প্রশাসনের তরফ থেকে এবং তেমন তৎপরতাও দেখা যায়নি। আক্রান্তদের বয়ান অনুযায়ী, “থানা থেকে, হাসপাতাল থেকে কোনো ডকুমেন্ট দেওয়া হয় না, মাইনর ইনজুরি বলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওরা কোনো ডকুমেন্ট, কিছু দেয় না। SA ছাড়াও এফটিআইআই থেকে একটা এফ আই আর করা হয়েছ যেটা অত্যন্ত সাধারণ ভাবে ঘটনা গুলো কে দেখিয়েছে। আর ওখানে বলা আছে আমনা-সামনা হুয়া, মানে সংঘর্ষ হয়েছিল। কোনো সংঘর্ষের সিচুয়েশনই ছিল না, জাস্ট অ্যাটাক আর মার দিয়ে চলে গিয়েছিল এক তরফা।”
এই মর্মে এবিভিপি পুণের একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে এফটিআইআই-তে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনকে “দেশ বিরোধী কার্যকলাপ” বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ এর পরেই আক্রমণ আসে গেরুয়া শিবিরের দিক থেকে। এই ইনস্টিটিউটের ফিল্ম ডীন এবং রেজিস্ট্রারের সাথে ইস্টপোস্টের তরফ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো জবাব দেননি।