Close

হিমালয়ে নির্মীয়মাণ টানেলে আটকে ৪০ শ্রমিক; জারি উদ্ধার অভিযান

ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কারা এবং দান্ডালগাঁও-এর মধ্যে ৪.৫ কিলমিটার দীর্ঘ নির্মীয়মাণ টানেল রবিবার হঠাৎ ধ্বসে পড়ায় ৪০ জন শ্রমিক ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছে।

ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কারা এবং দান্ডালগাঁও-এর মধ্যে ৪.৫ কিলমিটার দীর্ঘ নির্মীয়মাণ টানেল রবিবার হঠাৎ ধ্বসে পড়ায় ৪০ জন শ্রমিক ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছে।

ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কারা এবং দান্ডালগাঁও-এর মধ্যে ৪.৫ কিলমিটার দীর্ঘ নির্মীয়মাণ টানেল রবিবার হঠাৎ ধ্বসে পড়ায় ৪০ জন শ্রমিক ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, আটকে পড়া শ্রমিকেরা কেউ ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে নেই। তারা মোটামুটি ৪০০ মিটার ছড়ানো এলাকার মধ্যে আটকে রয়েছেন। টানেলের ওই অংশে দশ ঘন্টা যাবৎ বেঁচে থাকার মতো অক্সিজেন আছে, তাছাড়া সকালে বাইরে থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এই টানেল উত্তরাখন্ড সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি, যার উদ্দ্যেশ্য সব রকমের আবহাওয়াতেই যোগাযোগ বজায় রাখা।

রবিবার রাতের নির্মীয়মাণ টানেলে এই দুর্ঘটনার পর আজ সোমবার সকাল থেকে যাবতীয় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। সিল্কারা কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে যারা আটকে রয়েছেন তাদের সাথে ওয়াকিটকির মাধ্যমে যগাজগ করা গিয়েছে, এবং তারা প্রত্যেকে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, বড় বড় পাইপলাইনের মাধ্যমে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাবার পাঠানো হয়েছে। পিটিআই সুত্রে খবর, এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, পুলিশ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ একযোগে দুর্ঘটনার কথা শোনা মাত্র উদ্ধার অভিযানে নিযুক্ত হয়েছেন। ১৩ মিটার টানেলের মধ্যে ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য যন্ত্র নিযুক্ত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপ-এর মধ্যে দিয়ে ৬০ মিটার লম্বা একটি প্রক্সি টানেল তৈরি করার কাজ চলছে, যার মাধ্যমে দুর্ঘটনাগ্রস্থেরা বাইরে বেড়িয়ে আস্তে পারবে। এরই মধ্যে তারা ২০ মিটার রাস্তা সাফ করতে সক্ষম হয়েছে বলে যানা গিয়েছে। ডিআরএফ ইন্সপেক্টর জগদম্বা বিজলওয়ান বলেছেন “আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে”।

উত্তরাখন্ডের চার-ধাম প্রকল্পে ৯০০ কিলমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণ পরকল্পনা অংশীভুত আছে, যাতে ১২০০ কোটি টাকা বা ১৫০ কোটি ডলার খরচ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ভারত সরকার এই নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন কারণ সরকারের মতে এটি স্থানীয় জনগণের জীবনের মান বৃদ্ধি পাবে এবং উক্ত অঞ্চলে ব্যাবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধিপাবে। গত ২০২১ সালে এই রাজ্যেরই অপর প্রান্তে আরও একটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানেও একইভাবে টানেলে আটকে যাওয়ার পর হড়পা বানের ফলে ৮০ জন নিহত হয় এবং ২০০ জন নিখোঁজ হয়ে যান।

Leave a comment
scroll to top