গাজার 'নিরাপত্তা'-র দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল- নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের সাথে বর্তমান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তার দেশকে গাজায় “অনির্দিষ্টকালের” সময়ের জন্য “সার্বিক নিরাপত্তা” পরিচালনা করতে হবে।সোমবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারের জন্য এবিসি নিউজের সাথে কথা বলার সময়, নেতানিয়াহুকে এই অঞ্চলটির জন্য ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যদি এটি হামাসকে ভেঙে দিতে সফল হয়, একটি দীর্ঘ স্থাপনার প্রয়োজনীয়তার পরামর্শ দেয়। “আমি মনে করি, ইসরায়েল একটি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য, গাজায় সামগ্রিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে কারণ আমরা দেখেছি যে আমাদের কাছে এটি না থাকলে কী হতে পারে,” তিনি বলেছিলেন।

“যখন আমাদের সেই নিরাপত্তার দায়িত্ব নেই, তখন আমাদের যা আছে তা হল হামাস সন্ত্রাসের বিস্ফোরণ; এমন মাত্রায় যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।” মন্তব্যগুলি সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অতীতের বিবৃতির বিপরীত বলে মনে হচ্ছে। গত মাসে ফিলিস্তিনি ছিটমহলে একটি বড় স্থল হামলার ঘোষণা দেওয়ার সময়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জোর দিয়েছিলেন যে ইসরায়েলি সৈন্যরা অবশ্যই “গাজা উপত্যকায় দৈনন্দিন জীবনের” জন্য দায়ী হবে না। যদিও কর্মকর্তা বলেছিলেন যে ইসরায়েল বর্তমান যুদ্ধের পরে এই অঞ্চলে একটি নতুন “নিরাপত্তা বাস্তবতা” প্রতিষ্ঠা করবে, তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে এটি একটি তৃতীয় পক্ষের কাছে দ্বন্দ্ব-পরবর্তী শাসন হস্তান্তর করতে চাইবে।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সোচ্চারভাবে সমর্থন করার সময়ও ওয়াশিংটন গাজা দখলের আরেকটি বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছে। সিবিএসের সাথে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারের সময়, রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেছিলেন যে পদক্ষেপটি একটি “বড় ভুল” হবে। “এটি একটি ভুল হবে… ইসরায়েলের জন্য আবার গাজা দখল করা,” তিনি বলেছিলেন। তিনি আরও বলেছেন”তবে ভেতরে অগ্রসর হওয়া… এবং চরমপন্থীদের বের করে নেওয়া, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন।”

১৯৬৭ সালে মিশর, জর্ডান এবং সিরিয়ার সাথে ছয় দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল প্রথম গাজা দখল করে এবং প্রায় ৪০ বছর পরে তার সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীদের প্রত্যাহার করে। এই বছরগুলিতে ইসরায়েল ছিটমহলের উপর কঠোর অবরোধ বজায় রেখেছে এবং ২০০৬ সালে গোষ্ঠী গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমিক বোমা হামলা চালিয়েছে। হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর গত মাসে সর্বশেষ রাউন্ডের লড়াই শুরু হয় যাতে প্রায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। আইডিএফ সেই সপ্তাহেই প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা শুরু করেছে এবং ধীরে ধীরে গাজায় স্থল হামলা বাড়িয়েছে। গাজার স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, এতে ১০০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছে, যার ৭০ শতাংশই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ।