বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে প্রায় পরপরই কয়েকদিনের মধ্যে তিন -তিনটি সাইক্লোন তৈরির পরিস্থিতি, যা ভয় দেখাচ্ছে সকলকে৷ বিজ্ঞানীদের মতে সমুদ্রের ওপর তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়গুলি পূর্বে স্থলভাগের ওপর আছড়ে পড়ত না৷ কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্য, সমুদ্রের ওপর তৈরি হওয়া ঝড়ের বেশিরভাগই স্থলভাগের অভিমুখে ধেয়ে আসছে৷
বিশ্বোষ্ণায়নের জেরে একের পর এক সাইক্লোন তৈরি হয়ে চলেছে৷ এটা শুধুমাত্র বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরের ক্ষেত্রেই হচ্ছে তা নয়, এই পরিস্থিতি সারা বিশ্বের সমস্ত সাগরের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে৷
যদিও সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি হলেও গরম থেকে নিস্তার নেই বঙ্গবাসীর। আগামী ৫ই জুন পর্যন্ত জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, কলকাতাতেও গরম ও অস্বস্তি দুটোই বাড়বে।
শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী এক সপ্তাহ পশ্চিমের জেলায় লু বইবে। পাশাপাশি, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাতে স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা সামান্য বেশি থাকলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে।
৩ থেকে ৫ জুন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের নানা অংশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। ৬ ও ৭ জুন, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা, ও উত্তরবঙ্গের তিন জেলার নানা অংশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়বে দার্জিলিং, কালিম্পং-এ। তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে।